বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে জালজালিয়াতির মাধ্যমে আইডি কার্ড দিয়ে বয়স্ক ভাতার কার্ড ও ভিজিডি কার্ড করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া আরো অভিযোগ রয়েছে বয়স্ক ভাতার কার্ড ও ভিজিডি কার্ড করে দিতে প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫ থেকে ১০ হাজার ও সরকারি টিউবওয়েল দেয়ার জন্য ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। মেম্বর হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করতে ওই ওয়ার্ডের এলাকাবাসী বরিশাল জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর হারুন অর রশিদ জালজালিয়াতির মাধ্যমে বয়স না হওয়া সত্বেও বয়স্ক ভাতা করে দিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে সরকারি টাকা লুটপাট করে যাচ্ছেন। স্বামী জীবিত থাকা মহিলাদের বিধবা ভাতার সুযোগ করে দিয়েছে মেম্বর হারুন। দুস্থ ও গরিব মহিলাদের ভিজিডি কার্ড করে দেয়া বাবদ মেম্বর হারুন ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা ও সরকারি টিউবওয়েল বাবদ ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সাহায্য সহযোগীতা দলীয়করণ ও আত্মীয়দের মাঝে বন্টন করেছেন। হারুন মেম্বরের এমন কর্মকান্ডে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। মৃত একাব্বর হাওলাদারের ছেলে আঃ লতিফ হাওলাদার, মৃত আনছার গাজীর স্ত্রী শফিয়া বেগমসহ বেশ কয়েকজনের বয়স না হওয়া সত্বেও টাকার বিনিময়ে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাইয়ে দিয়েছেন মেম্বর হারুন। এছাড়া বিধবা না হওয়া সত্বেও জাফর সিকদারের স্ত্রী রাশিদা আক্তার, কার্তিক মৃধার স্ত্রী অরুন বালা, ওমর ফারুকের হাওলাদারের স্ত্রী মাসুমা বেগমসহ বেশ কয়েকজনের আইডি কার্ড জালিয়াতি করা হয়েছে। এ বিষয়ে মেম্বর হারুন অর রশিদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি এমন কোন কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। এ বিষয়ে দুধল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ উজ্জল খান বলেন, আমার কাছে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।