পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জমি বিরোধের জের ধরে ইসা মোল্লা নামে এক কলেজ ছাত্রকে হত্যার চেষ্টায় কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
এমনকি হামলার পর সন্ত্রাসীরা মির্জাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় নার্স এবং স্টাফদের সামনে ফের হামলার চেষ্টা করে। নার্স এবং স্টাফরা সন্ত্রাসীদেরকে প্রতিহত করলে তারা একপর্যায়ে পালিয়ে যায়।।
গত শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে মির্জাগঞ্জ থানাধীন ঘটকেআন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ইশা ওই এলাকার মসজিদের ইমাম মাওলানা হাসান মোল্লার ছেলে।
বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
হামলাকারী সন্ত্রাসীরা ঈসাকে হত্যার পরিকল্পনা করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথায় মারাত্মক জখম করেছে।
তবে অবস্থার অবনতি হলে যেকোনো সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আহতের বাবা হাসান মোল্লা জানান,দীর্ঘদিন ধরে হাসান মোল্লার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশী মুক্তার আলীর ছেলে মাওলানা আতহার মোল্লার সাথে বিরোধ চলে আসছে।।
আতাহার মোল্লা ভুয়া কাগজ দেখিয়ে মাওলানা হাসান মোল্লা জমি জোরপূর্বক দখল নেওয়ার চেষ্টা চালায়।
জমি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে অনেকদিন ধরে বিরোধ চলমান।
প্রায় সময় জমি দখল করতে মাওলানা আতহার সহ তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা হাসান মোল্লা ও তার পরিবারকে বিভিন্ন ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
বিষয়টি নিয়ে হাসান মোল্লা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে আতার ও তাদের সহযোগীরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমনকি তারা আইন নিয়মকানুন তোয়াক্কা করে না।
ঘটনার দিন গত শনিবার জমি নিয়ে মাওলানা হাসান মোল্লার পরিবারের সাথে আতাহার মোল্লা ও তাদের পরিবারের দ্বন্দ হয়।।
এরই জের ধরে বিকেল সাড়ে চারটায় আতাহার মোল্লার নেতৃত্বে তার ছেলে আহসানুল্লাহ সানাউল্লাহ সিফাত উল্লাহ এবং তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী নঈমুল মুসলিমসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে ইসলামের উপর হামলা চালায়। আহসানুল্লাহ সহ অন্যান্যরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ঈসাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক মির্জাগঞ্জ হাসপাতলে ভর্তি করেন। সেখানে আহতের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।