সবাই জানে তা ডাক নাম সুমন। পুরো নাম হাবিবুল বাশার সুমন; কিন্তু জানেন কি, এই দেশ বরেণ্য ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক এবং বর্তমান নির্বাচকের আরও একটি ডাক নাম আছে?
এটুকু শুনে হয়ত ভাবছেন, এ আর নতুন কি? বাংলাদেশে অনেকেরই পুরো নামের পাশে ডাক নাম জুড়ে দেয়া থাকে। পাশে আবার কারো কারো পারিবারিক নামও থাকে। যা ধরে নিকট আত্মীয়রা তাকে ডাকেন বা সম্বোধন করেন।
কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, হাবিবুল বাশারের কোন পারিবারিক নাম নেই। সুমন ছাড়া আর যে ডাক নামের কথা বলা হয়েছে, সেই ডাক নামে অন্য কেউ তাকে ডাকতেনও না। এমনকি সেটা তার পারিবারিক নামও নয়।
ডাকার তো প্রশ্নই আসে না। কারণ ওই নামটি আর কেউ জানতেনই না। সুমন নিজেই নিজের নাম দিয়েছিলেন এবং নিজেই সেই নামে ডাকতেন নিজেকে। কি সেই নাম?
কবে কখন, তার এই নামকরণ এবং কোন সময় ওই নামে নিজেকে সম্বোধন করতেন জাতীয় দলের এ সফল ব্যাটসম্যান? রোববার তামিম ইকবালের ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে সেই না জানা নাম ও নামকরণের কারণ নিয়ে অজানা তথ্য দিয়েছেন সুমন।
কথোপকোথনের এক পর্যায়ে তামিম তাকে বললেন, আচ্ছা সুমন ভাই আপনি ২০০৭ এর বিশ্বকাপের সময় নিজের একটা নাম দিয়েছিলেন। একটু বলবেন, সেই নামটি কি ছিল? আর কেনই বা নতুন নাম দেয়া এবং নিজেকে নিজেই সেই নামে ডাকা?
জবাবে হাবিবুল বাশার জানালেন, ‘আসলে নিজেকে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করতেই নিজের নাম দিয়েছিলাম ‘চিতা।’ সেটা কেন, নিজের নাম হঠাৎ চিতা রাখার কারণ?
বাশারের ব্যাখ্যা, ‘সেটা ২০০৭ সালে বিশ্বকাপের সময়ের কথা। দলে তামিম, মুশফিক, সাকিব, মাশরাফিসহ একঝাঁক তরুণ ক্রিকেটার। ফিল্ডিং সাইড খুব ভাল। বেশ ক’জন খুব ভাল মানের ফিল্ডার ছিল এবং বেশ স্পিডে দৌড়ানোর মত ক্রিকেটারও ছিল অনেক। মোটকথা দলের বেশিরভাগ সদস্যই ছিল ফার্স্ট ম্যুভার।
আমার মনে হয় ওই বহরে আমিই ছিলাম সবচেয়ে স্লো ম্যুভার। সবাই ছিল চৌকশ ফিল্ডার। মাঠে তাদের গতিময়তা দেখে খুব ভাল লাগতো। তাই নিজেকে মোটিভেট করতেই আমি নিজে থেকে ‘চিতা’ নাম দিয়েছিলাম। যাতে ‘চিতা’ বললে নিজেকে চিতার মত ক্ষিপ্র গতির মনে হয় তাই। সে কারণেই চিতা নামকরণ করেছিলাম।