বরিশাল নগরীর একটি আবাসিক হোটেলে যৌন উত্তেজনা নাশক ওষুধ সেবন করে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে রোমান্স করতে গিয়ে সাবেক এক মেম্বরের হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পোর্টরোড এলাকার আবাসিক “হোটেল গ্রান্ড প্লাজার” একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
প্রেমিকা সহ হোটেল স্টাফরা মেম্বারকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত মেম্বারের নাম সোহরাব সিকদার ,সে বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়া ইউনিয়নের টুংগীপাড়া গ্রামের মৃত রুস্তম শিকদারের ছেলে ও সাবেক মেম্বার।
এবং প্রেমিকা রোজিনা ওরফে সোহেলী সে ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানা নয়রসি গ্রামের ওহাব বেপারী মেয়ে। প্রেমিক প্রেমিকা তারা দুজনই স্বামী স্ত্রী পরিচয় আবাসিক হোটেলে ছিলেন।
শেবাচিম হাসপাতাল পুলিশ গার্ড এর ইনচার্জ এসআই নাজমুল হুদা জানান, ফরিদপুরের এক নারীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে সোহরাব সিকদার এর পরকীয়া প্রেম চলছিলো। সেই নারীকে নিয়ে বরিশালের ওই আবাসিক হোটেলে ওঠে। পরে রোমাঞ্চ করার সময় তার বুকে ব্যাথা উঠে এবং কিছুক্ষন পড়েই তিনি ঢলে পড়ে যান। সোহরাব অনেকদিন ধরে হার্টের রোগী ছিলো।
অসুস্থ হওয়ার পর প্রেমিকা সোহেলী সহ হোটেল স্টাফরা মেম্বারকে তাৎক্ষণিক শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর প্রেমিকা সোহেলী ঘটনাস্থল থেকে পলাতক হওয়ার চেষ্টা চালালে এস আই নাজমুলের সন্দেহ হয়। এসআই নাজমুল সহ অন্যান্যরা সোহেলী কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে সহেলী কে আটক করে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
প্রেমিকা সোহেলী জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, মোবাইল ফোনে সাবেক মেম্বার সোহরাব সিকদার এর সাথে তার পরিচয়।দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে কথা চলছিল একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোহরাব তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার গ্রামের বাড়ি সদরপুর থানার নয়রসি গ্রাম থেকে সোহেলী সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল আসেন। সোহরাবের সাথে তার দেখা হওয়ার পর তারা দুজনই স্বামী-স্ত্রী পরিচয় হোটেল গ্রান্ড প্লাজায় ওঠে। সেখানে তাদের মধ্যে রোমান্সকর হওয়ার পর সোহরাব সিকদারের হঠাৎ বুকে ব্যথা সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
তবে সোহরাব সিকদার এর মৃত্যুর পর তার পকেটে যৌন উত্তেজনা নাশক ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আসাদুজ্জামান জানান, সংবাদ পেয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ছুটে আসেন উপ-পুলিশ কমিশনার মোয়াজ্জেম ভূঞা ও সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ রাসেল আহমেদ ।তিনি আরো জানান, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইনসেটে প্রেমিকা সোহেলী র ছবি